কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ডাকা নবান্নকলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ডাকা নবান্ন অভিযানকে ঘিরে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা।
নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের অনেকে আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
নিহত তরুণী চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক দফতর এবং সচিবালয় রয়েছে হাওড়ায় অবস্থিত এই নবান্ন ভবনে। অভিযানকে ঘিরে মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা।
প্রথমদিকে এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ থাকলেও সাঁতরাগাছি এবং হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মিছিলে সামিল একাংশ ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে আসতে চাইলে তাদের পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
সেইসময় পুলিশকে নিশানা করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, জল কামান ব্যবহার করা হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়া হয়।
আবার আন্দোলনকারীদের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ আগে লাঠি চার্জ করেছে।
সাঁতরাগাছি স্টেশনে, হাওড়া ময়দান, হেস্টিংস এবং অন্যান্য অঞ্চলেও নবান্ন অভিযানে সামিলদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।
এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বহু জায়গা থেকে অত্যাচারের খবর আসছে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাধারণ মানুষ সাড়া দিয়েছেন। তাদের উপর অত্যাচার চলছে। পুলিশকে বলব অবিলম্বে এটা বন্ধ করতে।”
ঘটনার জেরে রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার কথা তিনি আগেই বলেছিলেন। এরপর বিকেলে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।