জামায়েতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পয়লা অগাস্ট যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল শেখ হাসিনার সরকার, তা ২৮শে অগাস্ট প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এপর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে জামায়েতের আমীর শফিকুর রহমান বলেছিলেন যে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তাদের দল আগ্রহী।
এই মন্তব্য নিয়েই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ”জামায়েতে ইসলামীর দিকে অভিযোগ ওঠে যে সেখানে তারা ভারত-বিরোধী মনোভাবকে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু এখন যখন তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। এ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী?”
এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের ব্যাপারে বিস্তারিত বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া, সাম্প্রতিক বন্যা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে মি. জয়সওয়াল মূল প্রশ্নের জবাব এক লাইনে সেরে দেন।
প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনি অন্য যে বিষয়টির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন (অর্থাৎ জামায়েতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ), সেটা আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা আশাবাদী যে বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আরও আলাপ আলোচনা করব।“
অন্য এক সাংবাদিক জামায়েতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মুখপাত্রর কাছে জানতে চেয়েছিলেন।
জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা এটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখছি।“