ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়কের স্থানে স্থানে বৃষ্টিতে ভেঙ্গে তৈরী হয়েছে ছোট ছোট খানাখন্দ। বেগতিক অবস্থা গাজীপুর অংশের এমসিবাজার এলাকায়। প্রায় একশ মিটার এলাকায় দুরাবস্থা তৈরী হওয়ায় থেমে থেমে চলছে যানবাহন।
এতে তৈরী হচ্ছে যানজট। যা ছড়িয়ে পড়ছে পাচ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত। মহাসড়কের এ অংশ পাড় হতে ঘন্টার উপর অতিরিক্ত সময় ব্যায় করতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রতিবছর বর্ষায় এ ভোগান্তি হলেও স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
গাজীপুর সড়ক বিভাগের দেয়া তথ্য মতে মহাসড়কটি চারলেনের৷ এর মধ্যে গাজীপুরের অংশ প্রায় ৩২কিলোমিটার। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে মহাসড়কের এমসি বাজার এলাকার কিছু অংশ খানাখন্দ তৈরী হয়েছে। আর এতেই তৈরী হয়েছে ভোগান্তি।
মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করার পরও ব্যবস্থাপনার অভাবে যাত্রীরা পুরোপুরি সুবিদা এখনও ভোগ করতে পারেননি। স্থানে স্থানে যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা। এর উপর বর্ষায় বাড়ে ভোগান্তি। সড়কে খানাখন্দ তৈরী হওয়ায় একদিকে ভারী যানবাহন আটকে যাচ্ছে অপরদিকে থেমে থেমে চলায় তৈরী হচ্ছে যানজট। যা ছড়িয়ে পড়ছে ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত। এমসি বাজার এলাকার ঢাকামুখী লেনে যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রায় একমাস ধরে।
ইউনাইটেড পরিবহনের চালক হাসিব মিয়া বলেন, এমসি বাজার এলাকা পাড় হতে এক ঘন্টা সময় অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। খানাখন্দের কারণে এখানে কম গতিতে অতিক্রম করতে হয়, এতে দীর্ঘ যানজট তৈরী হয়ে যায়। অথচ খানাখন্দগুলো সংস্কার করে দিলে এমস সমস্যা হতো না।
স্থানীয় এমসি বাজারের ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, এমসি বাজার ত্রিমোড় এলাকা। একদিকে খানাখন্দ আরেকদিকে ইচ্ছেমতো বিভিন্ন শিল্পকারখানার গাড়ী রাস্তা আটকিয়ে পাড় হওয়া সবমিলিয়ে কোন শৃঙ্খলা নেই এখানে। ফলে দীর্ঘ যানজটের শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। এছাড়াও সড়কের মধ্যে বাজারও বসে।
এ বিষয়ে গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম শরিফুল আলম আমাদের সময়কে বলেন, খানা খন্দগুলো ভরাট করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ করতে পারিনি এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগামীকাল থেকে কাজ শুরু করতে পারবো।