আইএমএফের সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি: এদিকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে দুই নেতার সাক্ষাতের পর হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এটি অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং দুই দেশের জনগণের সম্পর্কের গভীরে প্রোথিত রয়েছে। এতে আরও বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই সরকারের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে তার নতুন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সামপ্রতিক নিয়োগে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ঢাকা-রোম সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় দেখতে চান ইতালির প্রধানমন্ত্রী: ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইতালীয়রা বাংলাদেশের বন্ধু উল্লেখ করে রোম ও ঢাকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘নতুন অধ্যায়’ সূচনার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। বৈঠকে ড. ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা তুলে ধরে বলেন, তারা সমগ্র জাতির জন্য ‘রিসেট বোতাম’ টিপে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। মেলোনি বলেন, ইতালি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের পদক্ষেপে প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন- অবশ্যই, আপনি আমাদের ওপর নির্ভর করতে পারেন। আসুন আমাদের সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় সূচনার চেষ্টা করি। প্রধান উপদেষ্টা ইতালির নেতাকে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসনকে বিধিবদ্ধ করার অনুরোধ করে বলেন, আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে ইতালিতে আরও বেশি বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রবেশের পথ সুগম করা হলে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ অভিবাসন হ্রাস পাবে। মেলোনি এ কথায় সম্মতি প্রকাশ করে বলেন, উভয় দেশেরই অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধ করা এবং ইতালিতে কাজ করতে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণের জন্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত।