তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে করা রিটে সম্পৃক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল বুধবার এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে রিটের পর আদালত যে রুল জারি করেছিলো, তাকে সমর্থন করে আদালতে সহায়তা দিতে দলের পক্ষ থেকে করা বিএনপি মহাসচিবের আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, শুনানিতে থাকা আইনজীবীদের একজন আনিসুর রহমান রায়হান। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১১ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী সংসদে পাস হয়েছিলো। এ সংশোধনীর অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে এর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছিলো। সেই সংশোধনীতে একই সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা, রাষ্ট্রীয় মূূলনীতি হিসাবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন, মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান, সংবিধান থেকে গণভোট ব্যবস্থা বাতিল, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা ইত্যাদি বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছিল। সেই সাথে ওই সংশোধনীতে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে গত উনিশে অগাস্ট সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি একটি রিট করেছিলেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ওই রুলকে সমর্থন করে আদালতকে সহায়তা করতে পক্ষভুক্ত হতে হাইকোর্টে সোমবার আবেদন করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব। আজ শুনানি শেষে সেই আবেদন মঞ্জুর করলো আদালত। এর আগে গত একুশে অক্টোবর আদালতের কার্যতালিকায় ওঠার পর আদালত রুল শুনানির জন্য ৩০শে অক্টোবর দিন ধার্য্য করেছিলো। সে অনুযায়ী কাল বুধবার এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আনিসুর রহমান রায়হান।