বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে মাওলানা সাদের অনুসারী এবং বিরোধীদের মধ্যে উত্তজনাকর পরিস্থিতি তৈরির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির উপস্থিতি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তাবলীগের একটি অংশ, যারা মাওলানা সাদের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।
এর আগে সকাল থেকে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় তাবলীগের আরেক অংশ, যারা নিজেদের মাওলানা জুবায়েরপন্থী বলে পরিচয় দেন, তারা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলন করেছেন।
সেখানে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয়া হলে তাকে প্রতিহত করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তাদের নেতরা।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এবারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমার দিন ঠিক করা হয়েছে, এতে প্রথম পর্বের ইজতেমা ৩১শে জানুয়ারি থেকে দোসরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা চলবে সাত থেকে নয়ই ফেব্রুয়ারি।
তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভির কিছু বক্তব্য ও মতবাদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিভক্তি চলছে গত কয়েক বছর ধরে।
ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন তাবলীগ জামাতের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে – যখন বাংলাদেশে তাবলীগের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার সময় সাদ কান্দালভির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো হলে তিনি ইজতেমা প্রাঙ্গণে উপস্থিত না হয়েই দিল্লি ফিরে যান।
সেসময় টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছিলেন।
এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভাগ হয়ে পড়ে তাবলীগ জামাত।
২০১৯ সাল থেকে আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগের কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে, এর মধ্যে প্রথম পর্বে জোবায়েরপন্থী এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদপন্থীরা আয়োজক হিসেবে থাকেন।