ইতিবাচক রিজার্ভ: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে। তবে নিয়ন্ত্রণ দুর্বলতা ও দুর্নীতির কারণে অর্থ পাচার ব্যাপক বেড়ে যায়। বাড়তি চাহিদা মেটাতে ওই সময় থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি শুরু করে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমে যায়। তবে গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে কোনো ডলার বিক্রি করছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৫৭৩ কোটি ডলার বা ২৫.৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার কোটি ডলার (২০ বিলিয়ন)। গত মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২রা অক্টোবর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪.৭৪ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৯.৭৬ বিলিয়ন।
বাংলাদেশের বর্তমানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় চার মাসের আমদানি দায়ের সমান। একটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর খরচের নিচে নামলে তা ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। আর ৬ মাসের বেশি রিজার্ভ থাকলে তা স্বস্তিদায়ক হিসেবে গণ্য করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, এখন আর ডলারের কোনো সংকট নেই। যে কেউ যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে এলসি খুলতে পারবেন। টাকা না পেলেও এখন ব্যাংকে ডলার পাওয়া যাবে।