গাজীপুরে বনভূমি দখল করে নির্মিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের কলোনী ভেঙে দিয়েছে যৌথ বাহিনী। সোমবার সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের সময় বনভূমিতে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। গাজীপুর সদর উপজেলার গুচ্ছগ্রামে ৩ একর সরকারি গেজেটভুক্ত বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়। অভিযানে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
কে এই শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক?
শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক গাজীপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার নেতৃত্বে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন দখলের ঘটনা ঘটে আসছে। বিশেষ করে, বিগত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর তিনি প্রকাশ্যে বন দখল করেন। তার অন্যতম সহযোগী বাতেন ও সাত্তার মোল্লার মাধ্যমে বন দখলের কাজ পরিচালিত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওমর ফারুক দখল করা বনভূমি ছোট ছোট প্লটে ভাগ করে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ক্রেতারা ওই জমিতে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট নির্মাণ করেন। এসময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা বাধা দিতে গেলে তাদের উপর একাধিকবার হামলার শিকার হতে হয়।
বন দখলের বিষয়ে শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
অভিযানের ফলে উদ্ধার হওয়া বনভূমি সংরক্ষণ ও স্থানীয় পর্যায়ে বন দখল রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।