রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠনে আইন প্রণয়ন, সার্চ কমিটি কমিশনের সদস্য সংখ্যার দ্বিগুণ নাম চূড়ান্ত করে গণমাধ্যমে প্রচার ও গণশুনানির মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত করা, সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল করে সরাসরি নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদান ও প্রার্থী হওয়ার বিধান যুক্ত করা, ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়লে আবার নির্বাচন দেয়া, সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি ও প্লট প্রাপ্তির সুবিধা বাতিল করা, নির্বাচনে প্রার্থী কর্তৃক পোস্টার-ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দিয়ে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে কমন পোস্টার, মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে।
সংলাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রস্তাব আসা বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার মানবজমিনকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, না ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারার বিধান চালু করা, সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল করে সরাসরি নির্বাচন দেয়ার মতো প্রস্তাবগুলো সবচেয়ে বেশি এসেছে। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারী আসনে নির্বাচনের প্রস্তাব এসেছে। এতে ১০০ আসনে নারীরা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেবেন। ফলে সংসদে ৪০০ আসন করতে হবে। লটারির মাধ্যমে প্রথমবার ১০০ আসনে, পরের বার অন্য ১০০ আসনে এভাবে চারবারে চারশ’ আসনে নারীরা সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। আর অন্য আসনগুলো নারী ও পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।