ছাত্রাবস্থায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতির মাঠে পদচারনা তার। শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরে উপজেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে নিরবে রাজনীতি করেছেন।
গত জুলাই আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পেছনে থেকে দিয়েছেন প্রেরণা। আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে আহতদের শ্রীপুরের মাওনা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
সচ্ছধারার রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা পেশায় সুনাম কুড়িয়েছেন প্রায় তিন যুগ ধরে । দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রীপুর প্রেসক্লাবের। ১৯৯০সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন শ্রীপুর প্রেসক্লাব।
সাথে তিনি শ্রীপুরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বহুদিন ধরেই শ্রীপুরের মানুষের জন্য নানা জনকল্যানমুখী কাজ করে যাচ্ছেন। শ্রীপুরে ঘরে ঘরে যে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন এর মূল প্রচেষ্টায় ছিলেন তিনি। ১৫বছর ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর পরিচালক ও ৭বার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দুই মেয়াদে ছিলেন শ্রীপুর ইউসিসিএর পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। প্রতিষ্ঠা করেছেন হান্নান সমাজসেবা সংঘ। তিনি পিয়ার আলী কলেজ ও শ্রীপুর কারিগরি কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্য ছিলেন। গাজীপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্যও তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)র নির্লোভ, তরুণ, উদ্যমী, এবং জনপ্রিয় নেতা এএসএম মাহফুল হাসান হান্নান ইতোমধ্যে নিজের দক্ষতা ও মানবিক গুণাবলির মাধ্যমে নিজ এলাকার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
তিনি একজন সৎ, নীতিবান, এবং জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে পরিচিত। সচ্ছ ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরী হলে আগামীর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি আবারও জনগণের আশা-ভরসার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন।
জনকল্যাণে নিবেদিত নেতৃত্ব
এএসএম মাহফুল হাসান হান্নান সবসময়ই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুর্যোগময় পরিস্থিতি হোক কিংবা সামাজিক উন্নয়নের প্রয়াস—তার নেতৃত্বে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক কাজ হয়েছে। বিশেষ করে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে তিনি নিজ উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা, এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।
শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা
মাহফুল হাসান হান্নান বিশ্বাস করেন, শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কোনো সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। তিনি নিজ উদ্যোগে এলাকার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছেন এবং দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য দিয়েছেন সহায়তা। তার প্রচেষ্টায় অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। তিনি শ্রীপুরের স্বনামধন্য পিয়ার আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উদ্ভাবনী চিন্তা
স্থানীয় পর্যায়ে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা। মাহফুল হাসান হান্নান এই সমস্যা সমাধানে তার ভাবনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তিনি স্থানীয় যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে কয়েকটি ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে।
আগামী উপজেলা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জনগণের উন্নয়নের ধারাকে আরও গতিশীল করার পরিকল্পনা করছেন এএসএম মাহফুল হাসান হান্নান।
তিনি বলেন, তারুণ্যের অহঙ্কার, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জননন্দিত নেতা তারেক রহমানের ৩১দফা আমার রাজনীতির মূলমন্ত্র।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার গভীর দেশপ্রেম লালন করে স্বৈরাচারমুক্ত দেশে “আমার স্বপ্ন একটি সুখী, সমৃদ্ধ, এবং উন্নত উপজেলা গড়া। জনগণ যদি আমাকে তাদের সেবক হওয়ার সুযোগ দেয়, তবে আমি তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে সর্বদা সচেষ্ট থাকব।”
তার নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে আছে
আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ। বিশেষ করে রাস্তাঘাটের উন্নয়ণ, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, কৃষকদের জন্য সহজ ঋণ সুবিধা ও প্রযুক্তি সহায়তা, নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষ কর্মসূচি, যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীত করা, সড়কগুলে যানজট মুক্ত করা, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন নির্মাণ, বনাঞ্চল ও বনভূমি রক্ষা করা, গ্যাজেটের অভিমাপ থেকে স্থানীয়দের মুক্তি দেয়া, সরকারী সহায়তা প্রকৃত উপকারভোগীদের হাতে পৌছানো নিশ্চিত করা।
মাহফুল হাসান হান্নান ১৯৯০ সালে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। তার জন্ম শ্রীপুর উপজেলার ছায়া সুনিবিড় বদনীভাঙ্গা গ্রামে। তার পিতা চানমিয়া ছিলেন একজন সমাজসেবক ও মাওনা -গাজীপুর দুই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য। তার নানা শহর আলী মোড়লও ছিল একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি।
স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল হাসান জানান, মাহফুল হাসান হান্নান একজন পরিচ্ছন্ন এবং স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। তিনি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং জনসেবাকে তার জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তার নেতৃত্বে তারা একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ দেখছেন।
এএসএম মাহফুল হাসান হান্নানের জনপ্রিয়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজ তাকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে একটি শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি এগিয়ে যেতে চান এবং তার নেতৃত্বে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে বলে সবাই আশাবাদী।