আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর(৫আগষ্ট) থেকে এখন পর্যন্ত গাজীপুরে সংখ্যালঘুদের উপর কোন হামলা বা হয়রানীর কোন ঘটনা ঘটেনি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় থাকলেও বিভিন্ন প্রোপাগান্ডায় অজানা আতঙ্ক রয়েছে তাদের মধ্যে। তবে সকল ধর্মের মানুষের সাথে একসাথে দেশের হয়ে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় তাদের মধ্যে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলা ও মহানগরে লক্ষাধিক সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের মানুষের বসবাস। যাদের মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের। গত ৫ আগষ্টে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা সহ দলের অনেক নেতাকর্মী ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানে থেকে আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী নানা উস্কানী দিয়ে সংখ্যালঘুদের আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও প্রথম থেকেই বিএনপি জামায়াত সহ দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বশক্তি নিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়। শারদীয় দুর্গাৎসব ঘিরেও তাদের নিরাপত্তা দেয়া হয়। এতে সম্প্রীতির নতুন বন্ধন তৈরী হয়।
গাজীপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের কারো কোন সমস্যা নেই৷ সবাই শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে আসছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথায় কোন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
শ্রীপুর উপজেলা সংখ্যালঘু নেতা সুমন কর্মকার বলেন,আমাদের এখানে শত বছরেও কোনদিন কোন সমস্যা হয়নি, এখনতো নয়ই। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে যে গুজব ছড়াচ্ছে তা নিয়ে অনেকের মধ্যে অজানা আতঙ্ক রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নারায়ন কুমার দাস বলেন, আমাদের নিয়ে যা হচ্ছে সবই গুজব। আমরা সংখ্যালঘুরা নারাপদে এবং ভালো আছি। এখন পর্যন্ত কারো উপর কোন হামলা বা হুমকীর কোন ঘটনা ঘটেনি। সবাইকে গুজব রোধে এগিয়ে আসার আহবান তার।