ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল – বিএনপির এই তিন অঙ্গ সংগঠনের ছয়জন নেতা।
নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমরা বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী চাই। কোন আগ্রাসীমূলক মনোভাবের প্রতিবেশীর দরকার নেই।”
তারা জানান, ত্রিপুরায় বাংলাদেশি সহকারি হাই কমিশনে ভাংচুর, পতাকা অবমাননা, সম্পদ বিনষ্ট করা – এসব অবমাননার বিচার দাবি করা হয়েছে স্মারকলিপিতে।
একইসাথে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ‘একপেশে উস্কানিমূলক বক্তব্য’ ও ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’ বিনষ্টের মতো সংবাদ যাতে পরিবেশন না করা হয়, সে বিষয়টিও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারতকে অস্বীকার করা যাবে না – উল্লেখ করে ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’ থেকে যাতে ভারত বিরত থাকে সে বিষয়টি বলা হয়েছে বলে জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।
এর আগে ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের পদযাত্রা রামপুরায় পৌঁছালে সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ সময় হ্যান্ডমাইকে গুলশান জোনের ডিসি তারেক আহমেদকে বলতে দেখা যায়, আমরা যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি তিন সংগঠনের ছয় জন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি নিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান।
মি. আহমেদ বলেন, “শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যতটুকু করা দরকার ঠিক ততটুকুই পুলিশ করছে। বিশৃঙ্খলা না হলে আমরা কিছুই বলবো না, যে কোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানাই।”
ভারতীয় হাইকমিশনের সিকিউরিটি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে বলে নেতাদের জানান পুলিশ কর্মকর্তা মি. আহমেদ।
পরে তিনটি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ছয়জনকে পুলিশ ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য গাড়িতে করে রওনা দেয়।