সব
facebook raytahost.com
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত জীবনের স্বাদ পেলেন ১২৬ সদস্য | আজকের বাণী

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত জীবনের স্বাদ পেলেন ১২৬ সদস্য

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত জীবনের স্বাদ পেলেন ১২৬ সদস্য

 পিলখানায়  নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২৬ জন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

 

ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া গত রোববার বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর মঙ্গলবার জামিনপ্রাপ্ত ১৭৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।

 

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায়  নারকীয় বিডিআর হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার ভোরে ১২৬ জনের মুক্তির আদেশ কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে  যাচাই-বাছাই শেষে ১২৬ জন বন্দিকে  কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 

এরমধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ২৪ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ৮৯ জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহী জওয়ানরা সংস্থাটির সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তাদের হাতে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। এই বিদ্রোহের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

 

দুই কমিটির প্রতিবেদনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রচলিত আইনে বিচার করে।

 

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর।

 

এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায় হয়।

 

অপরদিকে বিস্ফোরক মামলায় ৮৩৪ জন আসামি রয়েছেন। হত্যা মামলার সঙ্গে এটিরও বিচার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করেনি। এক পর্যায়ে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত করে দেয় রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে মামলাটির বিচারকাজ শেষ হতে বিলম্ব হয়।

শেয়ার

আপনার মতামত লিখুন :

এর আরও খবর
মারধরের প্রতিবাদে ইজারাদারের সংবাদ সম্মেলন

মারধরের প্রতিবাদে ইজারাদারের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবাদ বিবৃতি

প্রতিবাদ বিবৃতি

শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু

শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু

শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

শ্রীপুরে ছয়শত পরিবার পেলো আকন্দ ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার

শ্রীপুরে ছয়শত পরিবার পেলো আকন্দ ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার

শ্রীপুরে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

শ্রীপুরে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
কার্যালয়: ১৯৫, ফকিরাপুল ১ম গলি, রহমান ম্যানশন, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।
ই-মেইল : [email protected]
© ২০২৩-২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।