অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তির প্রত্যাশার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মি. রিজভী বলেছেন, “হয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি থাকলেও গণতন্ত্রকে মজবুত করার কাঠামো তৈরির প্রস্তুতির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।”
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
“শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গত ১৫ বছরের অপশাসনের জন্য ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক উল্টো আদালতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে” বলে অভিযোগ করেছেন মি. রিজভী।
তিনি বলেন, “জুলাই-অগাস্টের শাজাহান খান গংরা আদালতে এসে সরকারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে, আদালতকে ভেংচি কাটছে, পুলিশকে থোড়াই কেয়ার করছে। হাসিনার দোসররা আসামি হয়েও আদালতে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে তা মূলত অন্তর্বর্তী সরকারকে অকার্যকর প্রমাণের এক গভীর চক্রান্ত।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ প্রশাসনের নীরবতায় তারা এমন আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মি. রিজভী।
নেপথ্যে ইন্ধন না থাকলে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দুঃসাহস দেখাতো না বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।
মাফিয়া অর্থনীতি সৃষ্টিকারীদের হোতারা আজও কেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে এমন প্রশ্ন তুলে মি. রিজভী বলেন, “যে সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রলম্বিত করার ঘোষণা দিয়ে কাজ করেছে, তারা আজ বহাল তবিয়তে তাদের রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে।”